বাংলা ১মবিবিধসর্বশেষ

সৃজনশীল নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর সংকেতঃ পর্ব-০১

দ্বাদশ শ্রেণি

বাংলা প্রথমপত্র

প্রিয় শিক্ষার্থী দ্বাদশ শ্রেণির প্রাকনির্বাচনি পরীক্ষার পাঠ্য সূচি অনুযায়ী ১টি পূর্ণাঙ্গ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নমুনা হিসেবে দেয়া হল। আরো ৪টি সৃজনশীল প্রশ্নের ক) জ্ঞানমূলক ও খ) অনুধাবনমূলক উত্তর সংযুক্ত করা হল। গ) প্রয়োগমূলক ও ঘ) উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন দুটোর  উত্তর সংকেত(Keynotes) দেয়া হল।

নমুনা প্রশ্ন-০১

বিশ্বের দেশে দেশে গ্রন্থাগার পাঠকের তৃপ্তিবিধান করে আসছে। পাঠাগারে বিভিন্ন বয়সের পাঠক তাদের রুচিমাফিক সাহিত্য বিজ্ঞান দর্শন অর্থনীতি ইতিহাস ধর্ম বিভিন্ন বিষয়ের বই পাঠ করতে পারেন। সে কারণেই পাঠাগার তথা গ্রন্থাগার পড়ুয়াদের চিন্তা-চেতনা মেধা ও মননচর্চার জানালাকে খুলে দিয়েছে।

ক) ল্যুভর মিউজিয়াম কবে গড়ে ওঠে?

খ) ‘জাদুঘর একটা শক্তিশালী সামাজিক সংগঠন।’- কেন?

গ) উদ্দীপকে বর্ণিত গ্রন্থাগারে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে? তা ব্যাখ্যা করো। 

ঘ) পাঠাগারের মতো জাদুঘরও আমাদের মনোজগৎকে সমৃদ্ধ করে চেতনাকে শানিত করে’-মন্তব্যটি মূল্যায়ন করো।

বি:দ্র: প্রিয় শিক্ষার্থী এ উদ্দীপকের নমুনা উত্তর দেয়া হল। ভাল করে খেয়াল করবে কিভাবে সৃজনশীলের উত্তর করতে হয়।

নমুনা উত্তর-০১

ক) ল্যুভর মিউজিয়াম ১৫৪৬ সালে গড়ে ওঠে।

খ) সমাজে জ্ঞান ও ভাবাদর্শ ছড়িয়ে মানুষের চেতনাকে জাগ্রত করে বলে জাদুঘরকে একটা শক্তিশালী সামাজিক সংগঠন বলা হয়েছে।

জাদুঘর আমাদের জ্ঞান দান করে, আমাদের শক্তি যোগায়, আমাদের সামাজিক চেতনাও জাগ্রত করে আমাদের মনোজগৎকে সমৃদ্ধ করে। মানুষ তাদের অতীত ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের নিদর্শন ও আত্মপরিচয় সম্পর্কে সুন্দর একটা থারণা পায় জাদুঘরে। এ সব কারণে জাদুঘরকে একটা শক্তিশালী সামাজিক সংগঠন আখ্যা দেয়া হয়।

গ) উদ্দীপকে বর্ণিত গ্রন্থাগারে ‘ জাদুঘরে কেন যাব” প্রবন্ধের সার্বজনীন ও বিচিত্রধরণের জ্ঞান অর্জনের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে।

আমরা জানি সাধারণত জাতীয় জাদুঘর এবং গ্রন্থাগার সকল শ্রেণির দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত। সেখানে বিচিত্র জ্ঞানের সমাহার মজুদ থাকে। ধর্ম, সাহিত্য, বিজ্ঞান, ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং বিলুপ্ত সভ্যতার হাজারো উপকরণ -সকল জাতীয় প্রতিষ্ঠানে সংগৃহীত থাকে। এ সব সার্বজনীন বিষয় জাতীয় গ্রন্থাগার ও জাদুঘর থেকে মানুষ বহুবিধ বিচিত্রমুখী জ্ঞান অর্জন করে।

উদ্দীপকে লক্ষণীয় পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই পাঠকের তৃপ্তিবিধানের জন্য গ্রন্থাগার রাখা হয়েছে। পাঠাগারে এসে আগ্রহী পাঠকরা তাদের রুচি অনুযায়ী ধর্ম, সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, অর্থনীতি বিষয়ক গ্রন্থ পাঠ করে থাকেন। জাদুঘরে কেন যাব” প্রবন্ধে জাদুঘরের গুরুত্ব তাৎপর্য এবং ইতিহাস সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। জাতীয় জাদুঘরে একটি জাতির সামগ্রিক পরিচয় পাওয়া যায়, অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং লুপ্ত হওয়া সভ্যতার বিচিত্র উপকরণ এখানে সংরক্ষিত থাকে। বিভিন্ন পেশাজীবী ও অনুসন্ধিৎসু জনগন জাদুঘরের এ বিষয়গুলো দেখে নানা জ্ঞান আহরণ করে। আর সে বিষয়টি উদ্দীপকে বর্ণিত গ্রন্থাগারে প্রতিফলিত হয়েছে।

ঘ) গ্রন্থাগারের মতো জাদুঘরও মানবমনের জগৎকে সমৃদ্ধ করে, চেতনাকে শানিত করে- মন্তব্যটি যথাযথ জাতিকে শিক্ষায় উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার পূর্ব শর্ত গ্রন্থাগার ছড়িয়ে দেয়া। এখানে এসে আগ্রহী পাঠকরা বিচিত্রধর্মী বই পড়ে মনোজগৎকে আৈাকিত করে। গ্রন্থাগারের মতো জাদুঘরও জাতীয় উন্নয়নে অন্যতম ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে জাতির ইকিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি দর্শন করে দর্শনার্থীরা জাতিসত্তার চেতনাকে অনেকটা ভালভাবে ধারণ করে।

উদ্দীপকে বিচিত্রমুখী জ্ঞান অর্জন এবং মেধা মননে গ্রন্থাগারের গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে জাতী গ্রন্থাগার খুব প্রোজ্জ্বলভাবে অবস্থিত। কারণ গ্রন্থাগার পাঠকের চিন্তা চেতনা, মেধা ও মননের চর্চার জানালাকে উন্মুক্ত করে দেয়। “জাদুঘরে কেন যাব” প্রবন্ধে প্রবন্ধকারের মতে জাতীয় জাদুঘর একটা জাতিসত্তার সুন্দর পরিচয় বহন করে। এখানে দর্শকদের সুযোগ ঘটে জাতির স্বরূপ সম্পর্কে একান্তভাবে উপলব্ধি করার। সংস্কৃতি ও আত্মবিকাশের সন্ধানও পায় ৷

জাদুঘর আমাদের যেমন জ্ঞান দান করে তেমনি চেতনায় শক্তি যোগায়, জাগ্রত করে বিবেকবোধ।

উপর্যুক্ত বিশ্লেষণে আমরা সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি, অন্তর্গতভাবে অনুধাবন করতে পারছি; এ কথাটি সত্য যে, গ্রন্থাগারের মতো জাদুঘরও আমাদের বিবিধ জ্ঞান আহরণে যথেষ্ট ভূমিকা রেখে থাকে। শুধু তাই নয় জাদুঘর আমাদের মানস চেতনা গঠন করতেও অনন্য ভূমিকা পালন করে। এ ধরণের (জনগণের) তথা পাবলিক প্রতিষ্ঠানে আসলে পাঠক এবং দর্শক নিজেদের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী বিচিত্রধরণের জ্ঞানের জগতে পরিভ্রমণ করে পারে, তাদের সময়গুলো জীবনের সাথে সুন্দরভাবে যাপন করতে পারে। মূলত এ কথা সত্য যে গ্রন্থাগারের যে কাজ বিশ্বজ্ঞানের সাথে পরিচয় ঘটায় যেখানে ধর্ম, সাহিত্য দর্শন ইতিহাস, অর্থনীতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে পাঠ অভ্যাসে অর্জন করে থাকে পাঠক, ঠিক তেমনি জাদুঘরও আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ধর্ম ও নৃতত্ত্ব ও জাতিসত্তা সম্পর্কে জনগণেরে মনোজগৎকে সমৃদ্ধ করে, চেতনাকে শানিত করে। অতএব দুটোই চেতনায় জ্বালায় আলো।

নমুনা প্রশ্ন -০২

বর্গি এল খাজনা নিতে

মারল মানুষ কত পুড়ল শহর পুড়ল শ্যামল

গ্রাম যে শত শত হানাদারের সঙ্গে জোরে 

লড়ে মুক্তি সেনা তাদের কথা দেশের মানুষ

কখনো ভুলবে না

ক) ‘ রেইনকোট ” গল্পটি কত সালে প্রকাশিত হয়? 

খ) ক্রাক ডাউনের রাতে কী ঘটেছিল?

গ) উদ্দীপকটিতে “রেইনকোট” গল্পের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো। 

ঘ) হানাদারদের সঙ্গে জোরে লড়ে মুক্তি সেনা–উদ্দীপকের এই বক্তব্যের মতো “রেইনকোট” গল্পেও প্রতিরোধের চিত্র রয়েছে।” তোমার অভিমত ব্যক্ত করো।

[বিঃদ্রঃ প্রিয় শিক্ষার্থী শুধু জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর  থাকবে। প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নগুলোর  কেবল keynote  দেয়া হয়েছে।]

নমুনা উত্তর-০২ 

ক) “রেইনকোট” গল্পটি ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয়।

খ) ক্রাক ডাউনের রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক ঢাকায় নৃশংস গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ এর রাতকে বলা হয় ক্রাক ডাউনের রাত। পাক বাহিনীর সামরিক জান্তা রাতের অন্ধকারে অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এ দেশের নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষের উপর। ঢাকা শহরে তারা ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ও নৃশংসরূপে গণহত্যা চালায়। ক্রাকডাউনের রাতে মূলত সে ঘটনাই ঘটেছিল।

গ ও ঘ  উত্তর সংকেত: 

# গণহত্যার চিত্র

#ঢাকা শহর যেন আতঙ্কগ্রস্ত জীবনের চিত্র তা উল্লেখ করবে।

# বর্গিরা যেমন খাজনার নামে মানুষ হত্যা করে গ্রাম শহর জ্বালিয়ে দেয় তেমনি

পাকিস্তানিরাও শাসনের নামে বাঙালি হত্যা করে ( এ বিষয়টি বিস্তারে লিখবে )

# উদ্দীপকে বর্গি হানাদারদের যেমন মুক্তি সেনারা প্রতিহত করতে সংগ্রাম করে, তেমনি রেইনকোট গল্পে পাকিস্তানি হানাদারদের রুখে দিতে মুক্তিযোদ্ধা ও তার সহায়করা দীর্ঘদিন লড়াই করে

# বাংলার মানুষ নির্যাতিত নিগৃহীত সে চিত্র তুলে ধরবে

# বাংলার মুক্তি সেনারা বর্গি হানাদারদের সঙ্গে জীবন দিয়ে লড়াই করে সে কথা তুলে ধরবে।

# মুক্তিযোদ্ধা মিন্টুর ‘রেইনকোট পরেই নুরুল হুদা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিয়ান হয়ে ওঠে সে কথা তুলে ধরবে।

নমুনা প্রশ্ন -০৩

উচ্চাভিলাষ এমন এক স্বপ্নের বাহন যাতে আরোহন করার পরিণাম সীমাহীন ক্লান্তি ছাড়া আর কিছু নয় । অতি লোভ অতি অহংকার এবং পরশ্রীকাতরতা মানুষকে জীবনের নিম্নস্তরে পাপের গহ্বরে ঠেলে দেয়। যারা জীবনে সফলতা চায় তাদের অবশ্যই এ বিষয়গুলো অত্যন্ত সুবিবেচনায় এনে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে অন্যথায় পতন অনিবার্য।

ক) বন্দুক কিনতে মঁসিয়ে কত ফ্রাঁ সঞ্চয় করেছিল?

খ) “এরকম জীবন দশ বছর ধরে চলল’- কোন জীবন লেখো ?

গ) উদ্দীপকটি কোন দিক দিয়ে “নেকলেস” গল্পের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ – আলোচনা করে বুঝিয়ে দাও।

ঘ) উচ্চাভিলাষ অনেক সময় ভীষণ বিপদ ডেকে আনে– উদ্দীপক ও নেকলেস গল্পের আলোকে বিষয়টি কতটুকু সত্য যুক্তি উপস্থাপন করো।

[বিঃদ্রঃ প্রিয় শিক্ষার্থী শুধু জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর  থাকবে। প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নগুলোর  কেবল keynote  দেয়া হয়েছে।]

নমুনা উত্তর-০৩

ক) বন্দুক কিনতে মসিয়ে চারশ ফ্রাঁ সঞ্চয় করেছিল

খ) দশ বছর ধরে মঁসিয়ে লোইসেল ও মাদাম লোইসেল তাদের আর্থিক দেনা শোধ করবার জন্য যে কঠোর পরিশ্রম করে সে প্রসঙ্গেই এ উক্তিটি করা হয়েছে -“এরকম জীবন দশ বছর ধরে চলল’।

বল নাচের দিন ঘনিয়ে আসলে মাদাম লোইসেল অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য তার বান্ধবী মাদাম ফোরস্টিয়ার এর কাছ থেকে তার নেকলেসটি ধার নিয়ে আসে। সে নেকলেসটি মাদাম লোইসেল হারিয়ে ফেলায় নতুন আরেকটি নেকলেস কিনে বান্ধবীকে ফেরত দেয়। কিন্তু তার স্বামী ও তাকে ভীষণ কষ্ট সইতে হয়। ঘরকন্নার কঠিন কাজ রান্নাঘরের কাজ বাজার করা সবকিছু করেছেন মাদাম লোইসেল, স্বামীও অফিসের কাজের শেষে আরো দীর্ঘ সময় অতিরিক্ত সময় ব্যবসায়ীদের হিসেবের কাজ করে দিতেন। এভাবে দুজনের সম্মিলিত সংগ্রামের ফলে দশবছর পর তাদের দেনা শোধ করতে সক্ষম হয়।

গ)

# উচ্চাভিলাষ ও বিলাসিতারকিরুণ পরিণতির দিক থেকে উদ্দীপকটি ‘নেকলেস’ গল্পের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে।

# লোভ করতে নেই সাধ্য অনুযায়ী মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হয়, উচ্চাভিলাষ মানুষকে সুখী করতে পারে না

# উদ্দীপকে উচ্চাভিলাষের করুণ পরিণতির কথা বলা হয়েছে। নেকলেস গল্পে উচ্চাভিলাষ ও বিলাসিতার কারণে মাদাম লোইসেল করুণ পরিণতির শিকার হন এ বিষয়টি সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ) 

# উদ্দীপক ও ‘নেকলেস’ গল্পের আলোকে মন্তব্যটি যথার্থ – ” উচ্চাভিলাষ অনেক সময় ভীষণ বিপদ ডেকে আনে।

# অভা দারিদ্র্য কে সহজে মেনে নেয়নি মাদাম লোইসেল বরং অতি বিলাসী জীবনের প্রত্যাশী তার কাছে জীবন মানেই জাঁকজমকপূর্ণ

# দীর্ঘ সময় চরম দারিদ্র্যে বেরণ করে থাকতে হয়

# উচাচাভিলাষ অনেক সময় ভীষণ বিপদ ডেকে আনে যা নেকলেস গল্পের আলোকে চরম সত্য বলে বিবেচনাযোগ্য মনে হয়েছে।।

নমুনা প্রশ্ন -০৪

ভোরের হিমেল পরশ ছোঁয়া শিশির স্নাত স্নিগ্ধতায় ভরে

ওঠতো পড়ার টেবিলের আলো,

নিত্য এ ব্যাকরণে সঙ্গ হতো গ্লাস টবে সাজানো

গন্ধরাজের সুরভি ছড়ানো আলো।

ক) ‘লোক লোকান্তর থেকে কবি কি শুনতে পান?

খ) কবিতার আসন্ন বিজয় বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?- ব্যাখ্যা করো।

গ) উদ্দীপকে ‘লোক লোকান্তর’ কবিতার সাদৃশ্য দিকটি ব্যাখ্যা করো।

ঘ) উদ্দীপক ও ” লোক লোকান্তর’ কবিতায় বর্ণিত চিত্রাত্মক বর্ণনার স্বরূপ ব্যাখ্যা করো।

[বিঃদ্রঃ প্রিয় শিক্ষার্থী শুধু জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর  থাকবে। প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নগুলোর  কেবল keynote  দেয়া হয়েছে।]

নমুনা উত্তর-০৪

ক) “লোক লোকান্তর’ থেকে কবি আহত কবির গান শুনতে পান

খ) কবিতার আসন্ন বিজয় বলতে কবি বুঝিয়েছেন- সকল সংকট পেরিয়ে কবিতার জয়কে বোঝানো হয়েছে।

কবি স্বভাবতই সৃষ্টির প্রেরণায় উন্মুখ থাকেন, তার চেতনার মণি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। পৃথিবীর কোন সমাজ, সংস্কার-ধর্ম বিধিবিধান তথা নিয়মকানুন অধীনে কবি থাকেন না। কবির কাছে চেতনার জগৎ, চেতনার রূপ- রঙ – রেখা, শব্দব্রহ্ম ছাড়া সব তুচ্ছ হয়ে যায়। কিন্তু তার সৃষ্টির চেতনা -জগতের পথ কুসুমে কোমল নয়। এক কঠিন জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই কবিতা ও সৃষ্টির জয় হয়। এ বিষয়টি বোঝানো হয়েছে।

গ) 

# উদ্দীপকে লোক লোকান্তর কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য আছে।

# প্রকৃতির রূপ রস চির ভাস্বর উদ্দীপকেও কিছুটা আছে যা লোক লোকান্তর কবিতায় চির ভাস্বর

# ভোরের স্নিগ্ধতার পরশ ও চিরায়ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ব্যাকরণ উদ্দীপকে উল্লেখ্য তেমনি লোক লোকান্তর কবিতায়ও ভাবগত সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ) 

# উদ্দীপক ও ‘ লোক লোকান্তর’ কবিতায় বাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

# কবি আপন অনুভূতি দিয়ে বাংলার রূপৈশ্বর্যকে উপভোগ করেছেন, কেউ ভোরের শিশিরে খুঁজেছেন স্বরূপ স্পর্শ।

#উদ্দীপকে বাংলার ড্রে ও তার শিশির স্নাত সকাল ও গন্ধরাজ ফুলের বিমোহিত রূপ খুঁজে পেয়েছেন ঠিক তেমনি লোক লোকান্তর কবিতায় গ্রাম বাংলার প্রকৃতির অফুরন্ত রং চিত্রায়িত করেছেন।

#যতদূর চোখ যায় বাংলার প্রাকৃতিক রূপের বৈচিত্র্য ভেসে উঠেছে। উদ্দীপকের কবিও গ্রাম বাংলার প্রতিদিনের ভোরের ফুল ও তার সৌরভে বাংলাকে চির সুন্দরকে খুঁজে পেয়েছেন। উদ্দীপক ও কবিতায় নৈসর্গিক সৌন্দর্যের চিত্রাত্মক বর্ণনা প্রকাশ পেয়েছে।

নমুনা প্রশ্ন -০৫

কে বিভক্ত করবে এই দিনের রৌদ্রকে ?

রাত্রির জ্যোৎস্নাকে রুখবে, এমন কি আছে কেউ? 

সন্তান-মাতার সম্পর্কে ফারাক কোথায়?

বস্তি, গুলশান– সবই এক সমুদ্রের ঢেউ।

ক) ‘রক্তে আমার অনাদি অস্থি ” কবিতাটি কার উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত?

খ) কত বিচিত্র জীবনের রং বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

গ) উদ্দীপকে ‘রক্তে আমার অনাদি অস্থি’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।

ঘ) উদ্দীপকের প্রেক্ষাপট ও বিষয় ” রক্তে আমার অনাদি অস্থি ” কবিতায় সার্থকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে তুমি মনে কর কি? তোমার যুক্তি তুলে ধরো।

[বিঃদ্রঃ প্রিয় শিক্ষার্থী শুধু জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর  থাকবে। প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্নগুলোর  কেবল keynote  দেয়া হয়েছে।]

নমুনা উত্তর-০৫

ক) ‘রক্তে আমার অনাদি অস্থি” কবিতাটি কবীর চৌধুরীর উদ্দেশ্যে রচিত।

খ) ‘কত বিচিত্র জীবনের রং’– বলতে বিভিন্ন মানুষের জীবনযাত্রাকে বোঝানো হয়েছে।

‘রক্তে আমার অনাদি অস্থি’ কবিতায় কবি গণমানুষের জীবনযাত্রার অনুষঙ্গ উপস্থাপন করেছেন। এ স্বদেশ নদীমাতৃক নদীমাতৃক দেশ। এ দেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা নদীর মতোই কল্লোলে বহমান। বাংলাদেশে যেমন বিচিত্ৰ নদ নদী আছে, তেমনি এদেশের মানুষের জীবনযাত্রাও বিচিত্র রঙের। আর এই বিচিত্র মানুষের জীবনযাত্রার যথার্থ চিত্র তুলে এনেছেন কবি দিলওয়ার।

গ) 

উদ্দীপকে কবিতা এবং পঠিত ‘রক্তে আমার অনাদি অস্থি’ কবিতার সাদৃশ্যগত দিকটি হল দুটোই গণমানুষের এদেশের দিনের আলো রৌদ্র, রাতের কিরণ জোছনা, যেমন সত্য ঠিক বস্তির সন্তান আর গুলশানের মাও সমান সত্য সেই সত্য রক্তে আমার অনাদি অস্থি কবিতায়ও সত্য উচ্চারণে বলিষ্ট।

উদ্দীপকে লক্ষণীয় বাংলাদেশের বস্তি ও গুলশানের জীবন বহমান আবার ” রক্তে আমার অনাদি অস্থি’ কবিতায় সাগরদুহিতা ও নদীমাতৃক বাংলাদেশের বন্দনা করেছেন উদ্দীপক ও কবিতায় কিছুটা বৈসাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ) 

উদ্দীপকের প্রেক্ষাপট ও বিষয় “রক্তে আমার অনাদি অস্থি ” কবিতায় সার্থকভাবে প্রতিফলন ঘটেনি, আংশিক পওতিফলিত হয়েছে।

উদ্দীপকে সুশীল সমাজ আর জনসাধারণের রূপভেদ এই বাংলায় নেই সেটি উচ্চারিত, আবার রক্তে আমার অনাদি অস্থি কবিতা’য় আবহমান ছুটে চলা নদীর মতোই কবি নিজের অস্তিত্বে ধারণ করে আছেন জাতি সত্তার শোণিত অস্থি।

উদ্দীপকে সন্তান ও মাতার আত্মিক সম্পর্ক আর দেশ মাতার সাথে জনমানুষের যে সম্পর্ক তা তুলে ধরেছেন সে দিক থেকে আংশিক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। পূর্ণ সাদৃশ্য নয়। ‘রক্তে আমার অনাদির অস্থি’তে কবি তাঁর স্বপ্নকে বিশাল বঙ্গোপসাগরের শক্তির কাছেও আমানত রেখেছেন।

সুশীল সমাজ আর জনসাধারণকে আশরাফ আর আতরাফ হিসেবে ভাগ করি অথচ সবাই বাঙালি একই জাতি সত্তার আলো বাতাসের জীব ও সৃষ্টি এ বিষয়টি উদ্দীপকে এসেছে। রক্তে আমার অনাদি অস্থি কবিতায়ও বাংলার জনমানুষের জীবন প্রত্যয়ের কথা বিধৃত হয়েছে তবে সার্থকভাবে উদ্দীপক ও কবিতার বিষয় প্রতিফলিত হয়নি আংশিকভাবে উঠে এসেছে।

মুহাম্মদ রুহুল কাদের, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, বেপজা পাবলিক স্কুল ও কলেজ, চট্টগ্রাম ইপিজেড।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button