আবশ্যিক বিষয়পড়ালেখাবাংলা ২য়সর্বশেষ

প্রশ্ন: উপসর্গ কাকে বলে? উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।

উপসর্গ:

যেসব সুনির্দিষ্ট বর্ণ বা বর্ণের সমষ্টি ধাতু ও শব্দের আগে বসে সাধিত শব্দের অর্থের পরিবর্তন, সম্প্রসারণ কিংবা সংকোচন ঘটায়, তাদের বলা হয় উপসর্গ। যেমন: প্র, পরা, পরি, নির ইত্যাদি।

উপসর্গের প্রয়োজনীয়তা:

  • শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয়: উপসর্গের মাধ্যমে যেহেতু নতুন নতুন শব্দ সৃষ্টি হয়, ফলে ভাষার শব্দসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ভাষার শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয়।
  • ব্যঞ্জনা বাড়ে: উপসর্গের ব্যবহারে শব্দের ভাব-ব্যঞ্জনা অনেক গুণ বেড়ে যায়। যেমন: ‘জয়’ বললে শব্দটির যতটা ভাব প্রকাশিত হয়, পক্ষান্তরে ‘বিজয়’ বললে শব্দটির আবেদন অনেকটাই বেড়ে যায়।
  • প্রকাশক্ষমতা বাড়ে: উপসর্গের ব্যবহারে ভাষার প্রকাশ ক্ষমতা বেড়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্ভবত এ কারণেই উপসর্গের তুলনা করেছেন মাছের পাখনার সঙ্গে। কারণ, পাখনার সাহায্যে মাছ যেমন ডান-বাঁয়ে বা সামনে-পেছনে চলার জন্য বিশেষ গতি লাভ করে, ঠিক তেমনি উপসর্গের মাধ্যমে শব্দ তার ব্যবহারিক ক্ষেত্রের বিস্তৃতি ঘটিয়ে থাকে।
  • অর্থের সম্প্রসারণ ঘটে: নির্দিষ্ট কোনো শব্দের আগে উপসর্গ যোগ করলে অনেক সময় সংশ্লিষ্ট শব্দটির অর্থের সম্প্রসারণ ঘটে। ফলে শব্দটির প্রচলিত অর্থের আবেদনে যোগ হয় ভিন্ন মাত্রা। যেমন: ‘তাপ’ থেকে হয় ‘প্রতাপ’ কিংবা পরিতাপ ইত্যাদি।

 

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button